গুইমারার হাতিমুড়ায় আলমের উপর হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু

0
95
গুইমারার হাতিমুড়ায় আলমের উপর হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু

দিদারুল ইসলাম হৃদয়, গুইমারা (খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার গুইমারা উপজেলাধীন হাতিমুড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মো: আলম নামের এক ব্যাক্তিকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে গুইমারা থানায় মামলা দায়ের করেছেন আলমের স্ত্রী হাছিনা বেগম। ১৫ জুলাই বুধবার সকাল ১০টায় গুইমারা থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম হাতিমুড়ায় ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের অবস্থান ও কিভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে তার তদন্ত করেছেন। সে সময় উপস্থিত ছিলেন বাদী পক্ষের হাফিজুল ইসলাম আসামী পক্ষের ছিলেন রুহুল আমিনসহ উপস্থিত স্বাক্ষীগন দীর্ঘক্ষন হত্যার উদ্যেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিত হামলার বর্ননা দেন। হামলাকারীরা পলাতক থাকায় কাউকে আটক বা জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। হামলাকারীদের অভিবাবককে রুবেল ও ইব্রাহিমকে সন্ধার মধ্যে থানায় হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়। হাতিমুড়ায় উপস্থিত জনতা এই হামলার তিব্র নিন্দা প্রকাশ করে হামলাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।

উল্লেখ্য যে, বৃহসম্প্রতিবার (০৯ জুলাই ২০) সকাল ১১ টায় হাতিমুড়া বাজারের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মো: আলম (৩৭) নামের এক ব্যাক্তিকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী মোঃ রুবেল, ইব্রাহিম ও সহযোগি জাহাঙ্গীর মিয়া ও তার শ^শুড় রুহুল আমিনের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সূত্র ও আহতের স্বজনরা নিশ্চিত করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মো: আলমকে তুচ্ছ ঘটনার জেরে নির্দয়ভাবে হাতিমুড়ার মান্নানের চায়ের দোকানের সামনে ফিল্মি স্টাইলে অতর্কিত ভাবে স’মিলের দাড়ালো কাঠ দিয়ে মাথায় ও পায়ে মারধর করে গুরুত্ব জখম করে।
এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তাকে মৃত ভেবে পালিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেকে) রেফার করে বলে জানান আহতের স্বজনরা।

ঘটনার পর পর বিষয়টি হাতিমুড়া পুলিশ ক্যাম্প কমান্ডারকে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে এরই মধ্যে এলাকা ছাড়ে হামলাকারীরা। হামলাকারী সন্ত্রানী রুবেল ও ইব্রাহীম মিয়া এ ধরনের ঘটনা নতুন কিছু নয় জানিয়ে স্থানীয়রা জানান এর আগে সে এ ধরনের একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও বিভিন্ন মহিলা,স্কুলপড়ুয়া ছাত্রীদের ইভটিজিং করার ঘটনা রয়েছে বলে জানান।

এ ঘটনায় হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও গুরুত্বর জখমের ঘটনায় মো: আলম এর পরিবারের পক্ষ থেকে গুইমারা থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর গুইমারা থানা তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরা এ ঘটনার জন্য হামলাকারী চিহিৃত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here